নারী অপহরণের চেষ্টা, গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত
আপলোড সময় :
৩০-০৬-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-০৬-২০২৫ ০৯:৪০:১৪ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় এক নারীকে অপহরণের সময় জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে আব্দুল মান্নান (২৭) নামে এক চিহ্নিত ডাকাত।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালং কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মান্নান একই এলাকার কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মছন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মান্নান একই এলাকার মো. বশিরের ১৫ বছর বয়সী কন্যা শুকতারা বেগমকে নিজ ঘর থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পেছনদিক থেকে মুখ চেপে ধরে তাকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় শুকতারার চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনতা ছুটে আসেন। এসময় ডাকাত মান্নান পালিয়ে পার্শ্ববর্তী আনসার উল্লাহর বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে উত্তেজিত জনতা তাকে সেখানেই ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রামু থানার ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা, হিমছড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ, সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ এলাকায় মছন আলীর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে একটি ডাকাতচক্র সক্রিয়। সম্প্রতি প্রশাসনের নজরদারি বাড়লেও পাহাড়ে লুকিয়ে থেকে তারা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, “আমি ঘরে একা ছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে টেনে নিয়ে যেতে চায়। আমি চিৎকার করলে বাবা-মা ও পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে বাঁচায়।”
পুলিশ জানায়, নিহত আব্দুল মান্নান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়ুবুর রহমান বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স